পড়াশোনা শেষ করে পরিবার নিয়ে স্বপ্ন সুখের সংসার সাজানোর কথা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম সোহাগের। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। কিন্তু টাকার অভাবে নিভে যাচ্ছে তার জীবন প্রদীপ। দীর্ঘদিন ধরে পেটে মাংস বেড়ে যাওয়া ও ফুসফুসে ঘা নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন রবিউল।
রবিউল গত পাঁচ মাস ধরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। তবে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৪-৫ লাখ টাকা। রবিউলের পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়।
রবিউলের পরিবার জানায়, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো রোগ নির্ণয় করা যাচ্ছে না। তার রোগ নির্ণয়ে ১৪ টি পরীক্ষা করা হলেও কোনো খারাপ রিপোর্ট আসেনি। এদিকে দিন দিন তার অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে। এখন রবিউলের উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এই মুহূর্তে সঠিক চিকিৎসা শুরু করলে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকায় আরোগ্য লাভ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে চিকিৎসায় বিলম্ব করলে জটিল পর্যায়ে চলে যেতে পারে। তখন কয়েকগুণ বেশি টাকা খরচ করেও আরোগ্য লাভ অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
রবিউল ইসলাম সোহাগ বলেন, ‘ইতোমধ্যে চিকিৎসায় এক লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। আমার চিকিৎসার মধ্যে হঠাৎ করে মায়ের হাত ভেঙে যায়। তখন আমার পরীক্ষা চলছিল। সেখানেও অনেক টাকা খরচ হয়েছে। হাত ভাঙার সময় ও হাতের রড খোলার সময় দুইবার অপারেশন করতে হয়েছে। আব্বাও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। অনেক ঋণ করে আমি আমার চিকিৎসাভার চালিয়ে নিচ্ছি। এতদিন এসব দুঃখ-কষ্ট আমি নিজের মধ্যেই চেপে রাখছিলাম। কিন্তু এখন আর চেপে রাখতে পারলাম না। কারণ চেপে রাখার সামর্থ্য আমার আর নেই।’
মাস্টার্স শেষ করা হয়নি রবিউলের। পরিবারের স্বপ্নকাণ্ডারী তিনি। এখন নিজের চিকিৎসা নিশ্চিতের দুশ্চিন্তা যেন জেঁকে ধরেছে তাকে।
তাই বাধ্য হয়ে সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
রবিউলের সাথে যোগাযগের নাম্বার- ০১৭৩৭৮৮৬৩৮৭