বর্তমান সময়ে পুরো বিশ্বব্যাপী এক মহাদুর্যোগের নাম নভেল ভাইরাস করোনা। এ ভাইরাস থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউ। তাই করোনা ভাইরাসে শিক্ষার্থীদের করণীয় রয়েছে। পুরাও বিশ্ব যেন থমকে দাড়িয়েছে। বিশ্ব শাষণ করা রাষ্ট্র গুলোও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে দিশেহারা। নানান গবেষণাতেও মিলছেনা প্রতিষেধক, পাওয়া যাচ্ছে না প্রতিকার।
এসময়ে সৃষ্টিকর্তার দিকে হাত তুলে প্রার্থনা ছাড়া আর কিছুই করার থাকছে না। তবে আমরা চাইলে এই মহমারি থেকে রক্ষা পেতে পারি। এর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা। কোভিড-১৯ যেন আমাদের স্পর্শ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
গণজমায়েত এড়িয়ে চলতে হবে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, করোনার লক্ষণ বা উপসর্গ পেলেই নিজেকে আলাদা করে নিতে হবে। সেইসাথে অন্যদের কেউ সচেতন করতে হবে। এই মহামারি থেকে রেহাই পেতে গণজমায়েত এড়িয়ে চলতে ইতিমধ্যেই লক ডাউন করে দেওয়া হয়েছে সবকিছু। কর্মচঞ্চল শহর, নগর, বন্দর, গ্রাম সব কিছু নিস্তেজ। আমাদের বাংলাদেশেও লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য এটি একটি বিশাল অর্থনৈতিক ধাক্কা, তবুও কিছু করার নেই।
করোনা ভাইরাস ও শিক্ষার্থীদের করণীয়
৯ এপ্রিল পর্যন্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। বাসায় অলস সময় কাটাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এই মহামারিতে সবার আগে যেহেতু জনসচেতনতা প্রয়োজন তাই এই জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে কাজ করতে পারে। আমাদের দেশের মানুষ কোভিড-১৯ নিয়ে এখনো উদাসীন প্রায়। তাই সবাইকে সচেতন করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। সবাইকে এই মহামারি সম্পর্কে বুঝাতে হবে। বহিঃবিশ্বে যেভাবে মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হচ্ছে সে সম্পর্কে সবাইকে জানিয়ে আত্মসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
পুরো বাংলাদেশ লকডাউন হওয়ায় অনেকের জীবন জীবিকায় ভাটা পড়েছে। সরকার যদিও তাদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠাচ্ছে তবুও আমাদের উচিৎ নিজ এলাকা / মহল্লায় খোঁ জ রাখা যেন কেউ অনাহারে না থাকে। সমাজের বিত্তবানদের এসব নিম্নবিত্ত মানুষদের পাঁশে দাড়াতে উৎসাহিত করতে হবে।
আর এসব কাজ শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ এলাকাতে থেকে করতে পারে। নিজেরা সামর্থ্যমত তহবিল সংগ্রহ করে এবং অন্যান্য যারা সাহায্য সহযোগিতা করার উপযোগী তাদের সাথে যোগাযোগ করে অনাহারী মানুষদের আহারের ব্যবস্থা করতে পারে। তবে সব কিছুর আগে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হবে। নিজে নিয়মিত পরিষ্কার থাকতে হবে অন্যকেও পরিষ্কার থাকতে অনুপ্রাণিত করতে হবে।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদের ভূমিকা
করোনা ভাইরাস মোকাবেলা শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা অতি সম্প্রতি ভাইরাসে এভাবে আক্রান্ত হয়নি পৃথিবীর মানুষ। তাই ভাইরাসের সাথে অনেকেই পরিচিত নয়। তাই আমরা যারা শিক্ষিত সমাজ আছি তারা যেমন সুন্দর পৃথিবী সাজাতে সামনে থেকে কাজ করি। ঠিক একইভাবে এই মহামারি থেকে রক্ষা পেতেও আমাদের সামনে থেকে কাজ করতে হবে। সুন্দর, সুশৃঙ্খল পৃথিবীকে আবার ফিরে পেতে আমাদের সবার সচেতন থাকতে হবে।
ঘরে বসেই পড়াশোনার অভ্যাস
এই ভাইরাস ছোয়াচে ধরণের। একজন আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে অন্যদের মাঝে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘরে বসেই নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। তাছাড়া সরকার টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিশেষ ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে এবং বেশ কিছু কলেজের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এ ক্লাস নেয়া হচ্ছে। আমাদের সকলের উচিত সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে এসব ক্লাসে অংশ নিয়ে ঘরে বসেই নিয়মিত অধ্যয়ন করা। কেননা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হবে না। এতে দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন হবে শিক্ষার্থীরা।
ইতিমধ্যেই যথাসময়ে এসএসসি ফল প্রকাশ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা। বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পর্যায়ের সকল প্রকার পরীক্ষা। তাই এই সংকট কাটিয়ে উঠতে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বসেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে।